ডুমুরিয়ার এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন নবদ্বীপ। সেটি বন্ধ হওয়ায় চরম অর্থ সংকটে একদিন মাত্র ২০০ টাকা পেতে ২০১৪ সালে এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসে এক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন৷ প্রশিক্ষণে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রাথমিকভাবে জমি বর্গা নিয়ে গড়ে তোলেন কুলবাগান। নবদ্বীপের এ অগ্রযাত্রায় সার্বিকভাবে সহায়তা প্রদান করেছে উপজেলা কৃষি কার্যালয়। নিজের বাড়িতেই কেঁচো সার তৈরি করে তা জমিতে প্রয়োগ করে লালশাক, বেগুন, পুইশাক, কুমড়া ইত্যাদি চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। নবদ্বীপ এগ্রিভিউ ২৪ কে জানান “এক বিঘা জমিতে লাউ, তিন বিঘা জমিতে কাঁচকলা, এক বিঘা জমিতে পেয়ারা, একবিঘা জমিতে লালশাক লাগিয়েছিলাম। কিভাবে কি করতে হবে কৃষি অফিসই পথ দেখিয়েছে।”
কেঁচো সার প্রস্তুতি
বর্তমানে বর্গা নেওয়া এবং নিজের প্রায় ৬ বিঘা জমিতে মৌসুমি সবজি আবাদ করে বছরে আয় করছেন ৬-৭ লক্ষ টাকা। এছাড়া ৪ বিঘা জমিতে রয়েছে কলা ও পেয়ারার বাগান। জাতীয় পুরষ্কার অর্জনের পর অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের কর্মপরিধিকে প্রসারিত করতে নিজের বাড়িতে চুইঝালের নার্সারি স্থাপন করেছেন নিজ। বাণিজ্যিকভাবে নার্সারি থেকে গতবছর ১০,০০০ এবং চলতি বছর ২০,০০০ চুইঝালের চারা সরবরাহ করেছেন। প্রতিটি চারার দাম ৩০-৫০ টাকা। এছাড়া আমসহ বিভিন্ন ফলের চারা উৎপাদনেরও চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। একইসাথে পেঁপের গুটিকলম করেও সফল হয়েছেন নবদ্বীপ। নিজের তৈরি কেঁচোসার জমিতে ব্যবহার করছেন তিনি। বাড়িতে রয়েছে ১২ টি গরু, প্রতিদিন গড়ে ৩০ লিটার দুধ পাওয়া যায়৷ বায়োগ্যাস প্লান্টে উৎপাদিত শক্তি থেকে মেটে দৈনন্দিন বিদ্যুৎ চাহিদা৷
চুইঝালের নার্সারি
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন এগ্রিভিউ ২৪ কে জানিয়েছেন, ” কৃষক নবদ্বীপ আধুনিক পদ্ধতি চাষাবাদ করে করে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। তাকে পরামর্শ এবং সার্বিক সহায়তা দিতে উপজেলা কৃষি কার্যালয় তার পাশে আছে। এছাড়া সে পেঁপের গুটি কলম করে সফলতা পেয়েছেন। কলমের গাছে মাতৃগাছের সব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকছে। তার এই অর্জন স্থানীয় কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। “